সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন দিরাই আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা ধর্মপাশা কৃষি ঋণ কমিটির সভা এসএসসি’র টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা জাউয়াবাজারে কৃষক দলের কমিটি গঠন ছাতকে গৃহবধূর আত্মহত্যা জনগণ যাতে সকল ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই : প্রধান উপদেষ্টা ধোপাজান-চলতি নদী : পথ বদলে চলছে বালু-পাথর লুট জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : শুনানি শেষ, রায় যে কোনো দিন অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেবে স্পেন পথনাটক উৎসব উদ্বোধন জামালগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস পলাশ ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল আহমদ কারাগারে মুজিববর্ষ উদযাপনে খরচ ১২৬১ কোটি টাকা পুলিশের নতুন আইজিপি বাহারুল আলম লাখে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে জামালগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুটি বসতঘর পুড়ে ছাই ধর্মপাশায় আসামি গ্রেফতার

দুই ছাত্রকে মারধর, অভিযুক্ত ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত

  • আপলোড সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৭:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০৯-২০২৪ ০৭:৩০:০৯ পূর্বাহ্ন
দুই ছাত্রকে মারধর, অভিযুক্ত ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার :: দুই ছাত্রকে মারধর করায় শহরের এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে এইচ.এম.পি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনসান মিঞা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। জানাযায়, মারধরের সাথে যুক্ত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ইসহাক আহমদ রিয়াম, ওয়াহিদুল ইসলাম, আবরার হাদি সাতিক এবং দশম শ্রেণির ছাত্র জিসানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে আমরা নিশ্চিত হই এরা আমাদের এইচএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। মারধরের এমন নমুনায় আমরা মর্মাহত। আমরা সবাই চাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তি হোক। পরে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের আহ্বানে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষক, অভিভাবক, সুশীল সমাজ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, সচেতন নাগরিকসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। জরুরি সভায় ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত ছাত্রদের পরিবারের সাথে কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ওই ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় কাজ করছে, সে ভয় কাটাতে উপযুক্ত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পরে উপস্থিত সবার সম্মতিতে ৫ জনের কমিটির গঠনের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান এবং অভিযুক্ত ৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চাচা মহিম উদ্দিন জানান, আমরা সুষ্ঠু বিচার পেয়েছি। উপস্থিত সবাই আমার ভাতিজার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এমন ন্যায়বিচারে আমরা খুশি। আর বয়স বিবেচনায় এদের যাতে বহিষ্কার না করা হয় এমনটা চাই। অভিযুক্ত রিয়ামের চাচা প্রকাশ আহমেদ জানান, আমি আমার ভাতিজার এমন আচরণে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমরা সবার কাছে লজ্জিত। আমরা আমাদের সন্তানের নজরদারি বাড়াবো। ভবিষ্যতে যাতে সে এ ধরনের আচরণ না করে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবো। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইনসান মিঞা জানান, আমি এই মারধরের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আমি জানামাত্রই ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের নেয়া পদক্ষেপে ভুক্তভোগীর পরিবার সন্তুষ্ট আছেন বলে জানিয়েছেন। অভিযুক্ত ৪ ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ম্যানেজিং কমিটির কাছে বহিষ্কারের ব্যাপারে লিখিত দিয়েছি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স